সিআরবি’র প্রধান স্থপতি
ডিজাইনার কে.জি.এম সবুজ
সিআরব’র পটভূমি :
জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী ভোক্তা ও মানবাধিকার সংগঠন সেলফ এইড ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ডিজাইনার কে.জি.এম সবুজের সাংগঠনিক পরিকল্পনায় প্রতিষ্ঠিত হয় কাউন্সিল অব কনজিউমার রাইটস বাংলাদেশ-সিআরবি। সিআরবি একটি বেসরকারী, অরাজনৈতিক, অলাভজনক এবং স্বেচ্ছাসেবী ভোক্তা অধিকার সংগঠন। সেলফ এইড-এর ভোক্তা অধিকার সচেতনতা ও গবেষণা প্রকল্পভূক্ত স্বতন্ত্র সংগঠন হিসাবে ১৬ অক্টোবর ২০০৭ইং সিআরবি’র প্রতিষ্টিত হয় । ভারতীয় উপমহাদেশের বরেণ্য বিপ্লবী মাষ্টারদা সূর্যসেন-এর সহযোদ্ধা ও সেলফ এইড ফাউন্ডেশনের প্রয়াত চেয়ারম্যান বিপ্লবী বিনোদবিহারী চৌধুরী’র ১২০ মোমিন রোডস্থ বাসভবন বিপ্লবী কুটিরে জনসচেতনতা ও গবেষণা মূলক এই প্রকল্প সংগঠনের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়। তিনি সিআরবি’র প্রথম চেয়ারম্যান ছিলেন। প্রাথমিক ভাবে এই প্রকল্প সংগঠনটি “কনজিউমার রাইটস ব্যুরো-সিআরবি” নামে যাত্রা শুরুর হলেও পবরর্তীতে কাউন্সিল অব কনজিউমার রাইটস বাংলাদেশ-সিআরবি নামেই রূপান্তর হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে স্বেচ্ছাসেবী/কনজিউমার এক্টিভিস্টদের মাধ্যমে ভোক্তা অধিকারে জন-সচেতনতা ও গবেষণা মূলক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা বিধান ও ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯ সংস্কার এবং ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবীতে গণ-স্বাক্ষর সংগ্রহের কাজ করছে। কাউন্সিল অব কনজিউমার রাইটস বাংলাদেশ-সিআরবি সমাজের সর্বস্তরে ভোক্তা অধিকার আইন বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও তা বাস্তবায়নে কৃত্রিম মূল্যবৃদ্ধি, ভোক্তাদের পণ্যে ভেজালের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য একটি সামাজিক গোষ্ঠী হিসাবে কাজের সূচনা করে। সর্বস্তরে ভোক্তা ও ভাড়াটিয়া অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত প্রাণ, স্বেচ্ছাসেবী হিসাবে কর্মরত। এটি সামাজিক, অর্থনৈতিক, স্বাস্থ্য এবং ভোক্তাদের অধিকার এবং স্বার্থ সুরক্ষায় সদা সচেষ্ট।
কাউন্সিল অব কনজিউমার রাইটস বাংলাদেশ-সিআরবি সমাজের সর্বস্তরে ভোক্তা অধিকার আইন বাস্তবায়ন ও সর্বস্তরে ভোক্তা-ভাড়াটিয়া অধিকার প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত প্রাণ, স্বেচ্ছাসেবী, অরাজনৈতিক এবং অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসাবে কর্মরত। ‘সেল্ফ এইড’ (Self Aid) জাতিসংঘ মানবাধিকার সনদ (Bill of Rights)-এর উপর ভিত্তি করে ১৯৯২ইং সালে প্রতিষ্ঠিত। সমাজ সেবায় অনন্য অবদানের জন্য সংগঠনের চেয়ারম্যান বিপ্লবী বিনোদবিহারী চৌধুরী ২০০০ সালে গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্বাধীনতা পদক অর্জন করেন। যুব উন্নয়নে অনন্য অবদানের জন্য ২০০২ সালে দেশের শীর্ষ সংগঠন হিসাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে অনুদান ও সম্মাননা লাভ করে। এই প্রতিষ্ঠানটি গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয় এবং শিল্প মন্ত্রনালয় ভুক্ত বিসিক-এর অনুমোদিত ও স্বীকৃত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
সিআরবির প্রধান স্থপতি ডিজাইনার কে.জি.এম সবুজে’র জীবন বৃত্তান্ত
কে.জি.এম সবুজ মূলত একজন প্রতিশ্রুতিশীল চিত্রশিল্পী। জন্ম সিলেটের বরমছাল নামক ষ্টেশনে রেলওয়ের সরকারী কোয়ার্টারে, ১৯৭৩ সালের ৭ই জুন। পৈতৃক বসত ফেনী জেলার অন্তর্গত পরশুরাম উপজেলার ৪নং বক্স মাহমুদ ইউনিয়নের উত্তর তালবাড়িয়া গ্রামে। পিতা রেলওয়ের স্টেশন মাষ্টার ছিলেন। সেই সুবাদে তার শৈশব ও কৈশোর পেরোয় সিলেট অঞ্চলের বিভিন্ন স্থানে। পড়াশোনার পাশাপাশি সংগঠন গড়ার মানসিকতা শৈবব থেকে। সিলেটে ১৯৮১ সালে“বর্ণমালা’ শিশু-কিশোর সংগঠন, ১৯৮৬ সালে বাটেরা বাজার রেল ষ্টেশন এলাকায় ক্রীড়া সংগঠন “দুর্জয়’ ও ১৯৮৯ সালে লংলা রেল স্টেশন এলাকায় “ লংলা প্রগতি যুব সংঘ” নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। চট্টগ্রাম সরকারী চারুকলা কলেজে লেখাপড়া চলাকালীন ১৯৯২ সালে চট্টগ্রামে (শ’তরূপা এন্টারপ্রেনার লার্নিং ফান্ড)-সেলফ এইড-নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯০ সালে মৌলভী বাজার জেলার, কুলাউড়া উপজেলায় অবস্থিত আলী আমজদ বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি (কুমিলা শিক্ষা বোর্ড) পাশ করেন। পরর্তীতে ১৯৯৩ সালে চট্টগ্রাম সরকারী চারুকলা কলেজ থেকে প্রি-ডিগ্রী (প্রাক-স্নাতক) ও ২০০০সালে একই কলেজ বানিজ্য কলা বিভাগ থেকে বি.এফ.এ (স্নাতক)ডিগ্রী লাভ করেন। ১৯৯০ সালে ঢাকার মতিঝিলে অবস্থিত বিসিক নকশা কেন্দ্র থেকে ব্লক-বাটিক প্রিন্ট, স্কীন প্রিন্ট, ব্লক মেকিং, পুতুল তৈরি ও লেদার টেকনলজী এবং লেদারের ব্যাগ-প্যাকেজিং তৈরির উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। বাংলাদেশ কোরিয়ান পলিটেকনিক ইনষ্টিটিউট-বিকেটিটিসি থেকে ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্টের উপর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। ১৯৯৩ইং থেকে ১৯৯৭ইং পর্যন্ত চট্টগ্রাম শহর সমাজ সেবা প্রকল্প-১-এর বাটিক-ব্লক প্রিন্ট প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের খ-কালীন প্রশিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। পেশাগত জীবনে তিনি একজন ফ্রিল্যান্স গ্রাফিক্স ও ওয়েব ডিজাইনার। রং নক্শা, শিল্প স্থাপনের ধারণাপত্র নামে ব্লক-বাটিক স্ক্রীন প্রিন্ট প্রশিক্ষণ বই লিখেছেন, স্প্রে প্রিন্ট, পুতুল তৈরি, প্যাকেজিং সহ বিভিন্ন হস্ত শিল্প ও কারুশিল্প বিষয়েরও প্রশিক্ষক তিনি। সরকারের এটুআই প্রকল্পে চট্টগ্রাম ও রংপুর অঞ্চলে সমিতি ভিত্তিক সদস্যদের দক্ষতা বৃদ্ধি মূলক প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করার সুযোগ লাভ করেন। তিনি কেবল তারুণ্যে ভরপুর নক্শাবিদ ও সংগঠকই নন, একজন কবিও। ১৯৯৫ সালে “নিঃশব্দ যন্ত্রনা” কাব্য সংকলন প্রকাশের মধ্য দিয়ে সাহিত্য বলয়ে প্রবেশ। ২০০২সালে প্রকাশিত হয় “কবি করো বন্ধু নয়” কব্যগ্রন্থ । ভারতীয় উপমহাদেরে বরেণ্য বিপ্লবী ও মাষ্টারদা সূর্য সেন-এর সহযোদ্ধা বিপ্লবী বিনোদবিহারী চৌধুরী’র ১০০তম জন্ম বার্ষিকীতে প্রকাশ করেন “অগ্নিগিরি” কাব্য গ্রন্থ ও আবৃত্তির সিডি। গণ-প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক প্রধান বিচারপতি জানাব হাবিবুর রহমান ৮জানুয়ারী চট্টগ্রাম শহীদ মিনার মঞ্চে ২০১০ইং “অগ্নিগিরি” কাব্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন।