• 01919612090
  • consumer.crb@gmail.com

৪র্থ সিআরবি কনজিউমার এ্যাওয়ার্ড ২০২০

৪র্থ সিআরবি কনজিউমার এ্যাওয়ার্ড ২০২০

এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শ্রেষ্ট ডাক্তার

ডাঃ মুহাম্মদ সিরাজুল হক
ডাঃ মুহাম্মদ সিরাজুল হক। পিতা: সৈয়দ আহমদ। মাতাঃ জরিনা খাতুন। জন্ম: ১৯৬৬ সালের ২৮ এপ্রিল। চট্টগ্রামের হাটহাজারি উপজেলার মধ্য মাদার্শা ইউনিয়নের রহমানিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষাজীবন সমাপ্ত করেন। ১৯৮১ সালে দক্ষিণ মাদার্শা এসএস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ১৯৮৩ সালে সরকারী হাজ্বী মুহাম্মদ মহসীন কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে ১৯৯১ সালে এমবিবিএস ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীতে ঢাকা বারডেম হাসপাতাল থেকে ২০০৯ সালে সিসিডি কোর্স সম্পন্ন করেন। মানুষেরকল্যাণ বিবেচনায় ১৯৯৪ সালে তিনি নিজের গ্রামেই জেনারেল প্র্যাকটিশনার চিকিৎসক হিসাবে পেশাগত জীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে ২০০৪ সাল থেকে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থিত ডক্টরস ল্যাব চিকিৎসা সেবা শুরু করেন। তিনি চট্টগ্রাম নগরে বসবাস করলেও সপ্তাহে ৩দিন নিজ গ্রাম মধ্য মাদার্শা লতিফ মেডিকোতে যৌাথভাবে জেনারেল ফিজিশিয়ান ও ডায়াবেটোলজিস্ট হিসেবে অদ্যাবধি চিকিৎসা সেবা প্রদান করে আসছেন। বর্তমানে চিকিৎসা সেবায় চালু হওয়া অতিবানিজ্যিকণের ধারায় গা না বাসিয়ে মানবসেবার ব্রত নিয়ে সৎ, পরোপকারী, মানবিক ও আদর্শ ডাক্তার হিসেবে স্বপ্ন বাস্তবায়নে তিনি এগিয়ে চলেছেন। তাঁর স্ত্রী শামীম আরা । তিনজন পুত্র সন্তানের গর্বিত জনক। প্রথম পুত্র মুহাম্মদ আতিকুল হক তাঈফ এমবিবিএস ৫ম বর্ষ এবং দ্বিতীয় পুত্র মুহাম্মদ আসিফুল হক সাঈফ এমবিবিএস ৩য় বর্ষে অধ্যয়নরত। কনিষ্ঠ পুত্র মুহাম্মদ নাসিফুল হক নাঈফ এজন কোরানে হাফেজ এবং চট্টগ্রাম দারুর উলুম আলিয়া মাদ্রাসায় ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়ন করছেন।


৪র্থ সিআরবি কনজিউমার এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ পুলিশ (মানবিক পুলিশ)


মো: শওকত হোসেন
মো: শওকত হোসেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহীনীর একজন সদস্য। পিতা: বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: আবুল খায়ের, মাতাঃ রাজিয়া বেগম। মুহাম্মদ শওকত হোসেন ১৯৮৬ সালের পহেলা অক্টোবর নোয়াখালি জেলার কবিরহাট থানার ধানশালিক ইউনিয়নের নিবৃত্ত লামছিপ্রাসাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রামের চন্দ্রঘোনা পেপার মিলে বাবার চাকরির সুবাদে তিনি কেপিএম স্কুল এন্ড কলেজে প্রাথমিক শিক্ষাজীবন শুরু করেন। একই বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পাস করেন এবং ২০০৫ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে কনস্টেবল পদে যোগদান করেন। এ বাহিনীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ কারিগরী শিক্ষবোর্ডের অধীনে তিন বছর মেয়াদী নার্সিং ডিপ্লোমা এবং পাঁচ বছর মেয়াদী প্যারামেডিক কোর্স সমাপ্ত করেন। ২০০৯ সালে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালে বদলী হয়ে আসেন। মানবসেবায় তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানের মধ্যে আছে, রাস্তায় পড়ে থাকা বেওয়ারিশ লোকজনের মাঝে চিকিৎসা, খাদ্য, বস্ত্র ও অন্যান্য সেবা প্রদান করা। এই সেবা তিনি তাঁর বেতনের টাকা দিয়েই এসব করে আসছেন বিগত দশ বছর যাবত। ফলে দশ বছরে নিজের অনেক ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণও করেননি। এমনকি কোন ঈদে নিজের জন্য একটি পাঞ্জাবিও কেনেননি। সহকর্মী ও বড় ভাইদের পুরোনো কাপড় পরে নিজের চাহিদা মিটিয়েছেন। তাঁর এমন ভালে কাজে অনুপ্রাণিত হয়ে সিএমপি পুলিশ কমিশনার জনাব মাহবুবুর রহমান বিপিএম পিপিএম একটি মানবিক পুলিশ ইউনিট গঠণ ও সংযোজন করেন, যা পুলিশ বিভাগে এই প্রথম। এই ইউনিটের কাজ হলো নি:স্ব, অসহায় ও বেওয়ারিশ লোকদের চিকিৎসা, খাদ্য, বস্ত্র ও আইনী সহায়তা প্রদান করা। এই ইউনিটের টিম লিডার হচ্ছেন মো: শওকত হোসেন। তাঁর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো চট্টগ্রামে সরকারী বা বেসরকারী ভবে একটি বেওয়ারিশ চিকিৎসা ও পুনর্বাসন কেন্দ্র গড়ে তোলা। জণকল্যানের সেই লক্ষ্যে তিনি নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।


 এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ প্রযুক্তিবিদ (পপুলার হোস্ট বিড়ি পক্ষে)


সাব্বিার আহম্মেদ
সাব্বির আহম্মেদ – জন্ম ২৫ ডিসেম্বর ১৯৯২ খৃষ্টাব্দে যশোর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়। পিতা: সাব্বির আহম্মেদ – জন্ম ২৫ ডিসেম্বর ১৯৯২ খৃষ্টাব্দে যশোর ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়। পিতা: আব্দুস সোবাহান সাবেক সেনা কর্মকর্তা, মাতাঃ রাবেয়া আক্তার। ১৯৯৬ সালে ময়মনসিংহ ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল থেকে পড়াশোনা শুরু করেন। পরর্তীতে সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন। ২০১৫ সালে দেশের জনপ্রিয় ওয়েব ডেভেলপমেন্ট প্রতিষ্ঠান “পপুলার হোস্ট বিডি” প্রতিষ্ঠা করেন। দীর্ঘ ৫ বছরে তার প্রতিষ্ঠান দেশে ও দেশের বাহিরে, অনলাইন পত্রিকা ও ই-কমার্স সহ কয়েক শতাধিক ওয়েবসাইট তৈরি করেছেন। তিনি সততা ও নিষ্টার সাথে আইটি সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন। তিনি সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে লেখালেখি ও প্রকাশনায় নিয়জিত আছেন। তিনি ঢাকা প্রেসক্লাবের সদস্য ও জনপ্রিয় জাতীয় “দৈনিক মাতৃছায়া’য়” নিজস্ব প্রতিবেদক হিসেবে কর্মরত আছেন। দেশে অনলাইন ও ওয়েব সাইট জনপ্রিয় হলেও ওয়েব ডিজাইনের নির্ভর যোগ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেনি। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সহ বড় বড় শহরে ব্যাঙে’র ছাতার মতো শত শত আইটি গড়ে উঠেনি। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সহ বড় বড় শহরে ব্যাঙে’র ছাতার মতো শত শত আইটি প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠলেও সরকারী নীতি মালা না থাকায় সেবা শূণ্যের কোটায় বিরাজমান। অনেক প্রতিষ্ঠান উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে ওয়েব সাইট তৈরি না করে দিয়েই টাকা মেরে দিচ্ছেন। এই সেক্টরের কোন প্রত্যক্ষ কোন সংস্থা তদরকী না থাকায় প্রতিকারও মিলছে না। অনেকে আবার ডোমেইন রিনিউ করতে গিয়ে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন। আইটি প্রতিষ্ঠান কৌশলে গ্রাহকের ই-মেইল পরিবর্তন করে দিচ্ছেন। এই অস্থির সময়েও জনাব সাব্বির আহম্মেদ সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীল ভাবে আইটি বিষয়ক সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।
তার আন্তরিক সহযোগীতা ও প্রচেষ্ঠায় ভোক্তা অধিকার-সিআরবি ভোক্তা অধিকার অভিযোগে মোবাইল এ্যাপস তৈরি করেছে। বিশ্ব-ভোক্তা অধিকার ২০২০ উপলক্ষে বাসাভাড়া অভিযোগ ও মোবাইল ফোনের অভিযোগ এ্যাপস আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি সিআরবি’র একজন কনজিউমার এক্টিভিস্ট ও প্রযুক্তিবিদ হিসাবে ডিজিটাল সেবা এবং ঢাকা জেলার সমন্বয়কারী ও হিসাবে কাজ করছেন।


 শ্রেষ্ঠ সংগঠক কনজিউমার এ্যাওয়ার্ড ২০২০


মো: আবদুল মান্নান মুন্সী
আলহাজ্ব মো: আবদুল মান্নান মুন্সী, পিতাঃ মৃত উসমান গণি, মাতাঃ মৃত আমেনা কাতুন গ্রামঃ কেওয়া পশ্চিম খ-, পোস্ট অফিসঃ মাওনা বাজার, থানা ও উপজেলা ঃ শ্রীপুর জেলা ঃ গাজীপুর। ১৯৮২ সালে মাওনা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। ১৯৮৩ সালের ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যোগদান করেন। বর্তমানে শ্রীপুর উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা/কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। মুন্সীবাড়ি জামে মসজিদের সভাপতি এবং রিয়াজউদ্দিন এতিমখানা ও মাদ্রাসার সহ সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। এছাড়াও আরো বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন। ২০১৮ কাউন্সিল সালে কাউন্সিল অব ভোক্তা অধিকার বাংলাদেশ-সিআরবি’র কনজিউার একক্টিভিস্ট হিসাবে শ্রীপুর উপজেলা শাখা যুক্ত হন। ২০১৯ সালে শ্রীপুর উপজেলা শাখা সভাপতি নির্বাচিত হন। ভোক্তাদের সচেতনতায় তিনি স্থানীয় প্রশসনের সাথে সমন্বয় সাধন করে জাতীয় দিবস সমূহ পালনের পাশা পাশি ভোক্তা অধিকার সচেতনতার জন্য ব্যাপক প্রচারণ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। ভেজাল নির্মূলে প্রশাসনকে ভেজালের উৎপত্তি ও উৎস সম্পর্কে অবহিত করে ভেজাল রোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করেন। ভেজাল বিষয়ে সচেতনতার জন্য লিফটে ব্যানার বুকলেট সহ না নান প্রচার কর্মসূচির মাধ্যমে উপজেলা পর্যায়ে ব্যাপক গণসচেতনতা সৃষ্টি করেন। স্থানীয় ভাবে ভোক্তা অধিকার সচেতনতা ও গবেষণা কার্যক্রম শক্তিশালী করতে তিনি বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষদের সম্পৃক্ত করে কমিটি পূরগঠন করে স্থানীয় পর্যায়ে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা বলয় সৃষ্টি করেন। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিষ্ঠার দাবীতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করছেন।