৩য় সিআরবি কনজিউমার এ্যাওয়ার্ড ২০১৯

৩য় সিআরবি কনজিউমার এ্যাওয়ার্ড ২০১৯

সিআরবি কনজিউমার এ্যাওয়ার্ড সম্মাননা স্মারক ২০১৯

শ্রীমতি মালা ব্যানার্জী

সভাপতি,  ফেডারেশন অফ কনজিউমার এসোসিয়েশন পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।

শ্রীমতি মালা ব্যানার্জী : ১৯৮০ সাল থেকে ক্রেতা সুরক্ষার সঙ্গে জড়িত। তিনি মহাসংস্থা ফেডারেশন অফ কনজিউমার এসোসিয়েশন পশ্চিমবঙ্গ এর সভাপতি। সর্ব্বভারতীয় ক্রেতা সংগঠন কনজিউমার কোঅর্ডিনেশন কাউন্সিলের জাতীয় সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ১৯৯৩ সালে অনারারী সিটিজেন অফ মেরিল্যান্ড ইউএসএ দ্বারা সম্মানিত হয়েছেন। ১৯৯৫ সালে ভারত সরকার কর্তৃক রাষ্ট্রীয় পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। ২০০২ সালে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক রাজ্য পুরস্কারে ভূষিত হন। তিনি বর্তমানে অল ইন্ডিয়া উইমেন্স কনফারেন্সের কলকাতা মেট্রোপলিটন শাখার সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি পূর্ববর্তী ভারত সরকারের সংসদীয় বিষয়ক কমিটিতে স্পোক ব্যক্তি হিসাবে মনোনীত ছিলেন। অস্থিতিশীল সময়ে  ভারত সরকারের বিভিন্ন  বিভাগের জন্য অভ্যন্তরীন অভিযোগ কমিটিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে থাকেন। এছাড়াও পিএমও মনোনীত ভারত সরকারের ভোক্তা নীতি ও প্রতিযোগিতা আইন, প্রাক বাজেট পরামর্শ কমিটি, কেন্দ্রীয় শিল্প নিরাপত্তা বাহিনী, বাণিজ্য ও উন্নয়নে জাতিসংঘ সম্মেলন, কলকাতা স্টক এক্সচেঞ্জ ট্রাস্টি, ভারতীয় স্ট্যান্ডার্ড ব্যুরো, টেলিফোন রেগুলেটরি অথোরিটি অফ ইডিয়া, সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া, সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ে, ভারত সরকারের জীবন বীমা কর্পোরেশনের ইস্টার্ণ জোন  সহ  আরো  অনেক  কমিটিতে  সূচনা  থেকে  প্রতিনিধিত্ব  করে  আসছেন।


এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ সাংবাদিক (গবেষক)

মুহাম্মদ শামসুল হক

মুহাম্মদ শামসুল হক: প্রায় ৪০বছর ধরে সততা, নিষ্ঠা ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার পাশাপাশি বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকে লেখালিখি এবং মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক গবেষণামূলক প্রকাশনায়  নিয়োজিত আছেন। তিনি ১৯৫৬ খ্রিষ্টাব্দের ১৮ অক্টোবর পটিয়ার আল্লাই গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৯৭৭ খ্রিস্টাব্দে অধুনালুপ্ত দৈনিক জামানার হাত ধরে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর  দৈনিক স্বাধীনতা, নয়াবাংলা, আল আমিন ও সাপ্তাহিক চট্টলার সিঁড়ি বেয়ে ১৯৮৯ সালের নভেম্বর  জাতীয় দৈনিক প্রথম আলোর জন্ম লগ্নে স্টাফ রিপোর্টার হিসাবে যুক্ত হন এবং পরে  জ্যেষ্ঠ সহ সম্পাদক হন। এযাবত  সাড়ে তিন শতাধিক প্রবন্ধ -নিবন্ধ জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। বৃহত্তর পরিসরে ইতিহাস-ঐতিহ্য-সাংস্কৃতিক ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে চর্চা, গবেষণা ও প্রকাশনার লক্ষ্যে ২০১৪ সালের এপ্রিলে দৈনিক প্রথম আলো থেকে পদত্যাগ করেন। বর্তমানে ইতিহাসের খসড়ানামে একটি সাময়িকী সম্পাদন করেন। ১৯৮০ সালে মহকুমা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। স্বাধীনতার ঘোষক বঙ্গবন্ধু: প্রমাণ্য দলিল সহ ৪টি বই প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৮ সালে তিনি চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন থেকে মহান একুশে স্মারক সম্মাননা পদক লাভ করেন।


এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শ্রেষ্ঠ পুলিশ

মাসুদুর রহমান

মাসুদুর রহমান: সাব-ইন্সপেক্টর বাংলাদেশ পুলিশ। পিতা-আব্দুল আউয়াল, মাতা-শেফালী আক্তার। তিনি ২১আগস্ট ১৯৮৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া থানার ছতুরা শরীফ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছতুরা চান্দপুর উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি  পাশ করে অধ্যাপক আবদুল মজিদ কলেজে ভর্তি হন। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ (অনার্স) এমএ (ইংরেজী) পাশ করেন।  তিনি ১৪ ডিসেম্বর ২০১৪ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি দেওয়ান হাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ হিসাবে কর্মরত আছেন। তিনি ইতিমধ্যে মানবিক ও জনহিতকর কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ চট্টগ্রামের মাননীয় পুলিশ কমিশনার এবং জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক পুরস্কৃত হন।  সহায়তামূল কাজের জন্য কর্মস্থলে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়। বিপদগ্রস্ত  মানুষ যখনই আইনী সহায়তার জন্য যান তিনি তাদেরকে আন্তরিক ভাবে সহায়তা করে থাকেন । তিনি মানবিক তাড়নায় অফিসিয়াল দায়িত্বের বাইরেও তিনি নিজের অর্থ ও সময় ব্যয় করে অসহায় মানুষের কল্যাণে নিরলস ভাবে কাজ করে চলেছেন।


শ্রেষ্ঠ নারী উদ্যোক্তা (সমাজ সেবায়)

জান্নাতুল ফেরদৌস (জান্নাত)

জান্নাতুল ফেরদৌস (জান্নাত): জন্ম ১ ফেব্রুয়ারি ১৯৭৩, কুমিল্লার লাঙ্গলকোটে। বাবার নাম মরহুম  মো: দেলোয়ার হোসেন। মাতা সানোয়ারা বেগম গৃহিণী। বাবা প্রাইভেট কোম্পানি ইউনিলিভারে ছিলেন। বাবার কর্মসূত্রে প্রকৃতির অপরূপ লীলাভূমি চট্টগ্রামে লেখাপড়া ও বেড়ে ওঠা। স্থায়ীভাবে চট্টগ্রামেই বসবাস করছেন। স্বামী ডাঃ মতিয়ার রহমান খান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে  সহকারী অধ্যাপক হিসাবে সার্জারি বিভাগে কর্মরত আছেন। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের গর্বিতা মাতা। শখ থেকে লেখালিখি শুরু। ইতোমধ্যে অনেক উপন্যাস ও কব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। তিনি একজন সফল উদ্যোক্তা ও সংগঠক। তিনি চট্টগ্রামের স্বনামধন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান জান্নাত রয়েল কালেকশান -এর  প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক। ব্যবসা, সংগঠক সংসার নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটালেও ছোট, বড় সবার জন্য লিখে চলেছেন। বিভিন্ন লিটল ম্যাগ এ নিয়মিত  তাঁর লেখা ছড়া কবিতা ও ছোটগল্প ছাপা হয়। তিনি জান্নাত ফাউন্ডেশন  নামে একটি সমাজ হিতৈষী প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেন।  সংগঠনটি অসহায় বৃদ্ধ ও দরিদ্র  শিক্ষার্থীদের  মাসিক  অনুদান  প্রদান করে থাকে।


সিআরবি শ্রেষ্ঠ সংগঠক কনজিউমার এ্যাওয়ার্ড ২০১৯

মুহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান

মুহাম্মদ সাজ্জাদুর রহমান : শিক্ষাগত জীবনের পাশাপাশি দেশের আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসী হয়ে, “মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা ও বাস্তবায়ন সংস্থা’র রংপুর বিভাগীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসাবে নিয়োজিত আছেন, এবং তাঁর দায়িত্ববোধ থেকে সমাজের অসহায় মানবাধিকার বঞ্চিতদের আইনগত সোবা প্রদানসহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমনে প্রতিবাদী ভূমিকা রাখতে সক্ষম। পরবর্তীতে তিনি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনে সংযুক্ত হয়ে নিজেকে মানবতার সোবায় সর্বত্র নিয়োজিত করেন। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে কাউন্সিল অব ভোক্তা অধিকার বাংলাদেশ-সিআরবি’র রংপুর বিভাগীয় আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক ও সমন্বয়কারী হিসাবে দায়িত পালন  করছেন। সিআরবি’র কার্যক্রম রংপুর বিভাগের  স্বোচ্চার সকল জেলা ও উপজেলায় সম্প্রসারণ করতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। ভোক্তা অধিকার সচেতনতায় ভূমিকা রাখতে তার কার্যক্রম চলমান ও অব্যাহত রয়েছে ও ভবিষ্যতে সংস্থার কার্যক্রমে  নিজেকে নিয়োজিত রাখবেন।


সিআরবি কনজিউমার এ্যাওয়ার্ড সহযোগিতা স্মারক ২০১৯

লুম নীটওয়্যার

লুম নীটওয়্যার – ১০০% রপ্তানীমুখী এই প্রতিষ্ঠান ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মাত্র তিন বছরে প্রতিষ্ঠানটি  ১৩৫ জন নারী পুরুষের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছে। প্রতিষ্ঠানটির স্বত্ত্বাধিকারী লিপিয়া নাসরীন। সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসাবে মানবিক উন্নয়নে জনহিতকর কাজে তাঁর অংশীদারিত্ব প্রশংসনীয়। একজন সফল নারী উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হিসাবে তিনি ইতিমধ্যে নিজের সক্ষমতার স্বাক্ষর রেখেছেন। নিজস্ব আগ্রহ ও অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে একটু একটু করে গড়ে তুলেছেন তিনি প্রতিষ্ঠানটিকে। শুরুটা স্বাভাবিকভাবেই মসৃন না হলেও তিন বছরে তার পোষাকভিত্তিক প্রতিষ্ঠান “লুম নিটওয়্যার” পেরিয়েছে অনেক বন্ধুর পথ। তিনি নারী  শ্রমিকদের দিকে সম্মান সহযোগিতার হাত যেমন বাড়িয়ে দিয়েছেন, তেমনি প্রশিক্ষণ, উত্তরোত্তর উন্নয়ন ইত্যাদির একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করে

বাড়িয়ে দিয়েছেন তাঁর স্বকীয়তা ও পণ্যের মান। শুধু পণ্যভিত্তিক উদ্যোগ গ্রহণ না করে সামাজিক প্রয়োজন, সামষ্টিক উন্নয়নে সহায়ক সেবার প্রতিও দৃষ্টি দিয়েছেন তিনি। মিসেস লিপিয়া মনে করেন, ব্যবসার সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হল সম্পর্ক তৈরিতে বিনিয়োগ। কেননা মানুষ শুধু পণ্যই কেনে না, একই সঙ্গে তাঁর সাথে জুড়ে থাকা ব্যক্তি সত্তার নির্যাস আর মূল্যবোধ গ্রহণ করে; গুরুত্ব দেয় পণ্যের আড়ালে থাকা অভিপ্রায়কে। বিশ্ব-ভোক্তা অধিকার  দিবস  উদযাপন  ও ৩য় কনজিউমার  এ্যাওয়ার্ড ২০১৯ অনুষ্ঠান সফল  করার  ক্ষেত্রে তাঁর অশীদারিত্ব/ সহায়তায়  আমরা  কৃতজ্ঞ।