মহা-সচিবের বাণী

নিরাপদ খাদ্য ও ক্রেতা সুরক্ষায় : ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবী

নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তা বিধানে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ সংশোধন ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষনের জন্য ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবীতে আমরা কনজিউমার রাইটস বাংলাদেশ-সিআরবি ২০১২সাল থেকে আন্দোলন করে আসছি। ক্যাব প্রাথমিক ভাবে আমাদের এই দাবীর প্রতি সমর্থন না জানালেও ২০২০ সাল থেকে তারাও সংবাদ সম্মেলন ও পত্রিকার কলাম লেখনীর মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবী জানাতে শুরু করেছে। কারণ বাস্তবতা হল ব্যবসায়ী বান্ধব বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে ভোক্তাদের অধিকার সুরক্ষা করা সম্ভব নয়। সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও দুর্বল নেতৃত্বের জন্য বিগত কয়েক বছরে দ্রব্যমূল্যের ঊর্র্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চরম ভাবে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের অধীনে বসে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের  পক্ষে কার্যকর কিছু করা ও বলা সম্ভব নয়। তাই মানুষের মৃত্যু হতে পারে এমন ভয়ঙ্কর ভেজাল পণ্য বিক্রির ক্ষেত্রে জরিমানা নিয়ে রেহাই দেওয়া হচ্ছে। ভেজাল দিয়ে ব্যবসায়ীরা কোটি টাকা কামাই করছেন আর রাষ্ট্রযন্ত্র ভেজাল ধরে লক্ষ লক্ষ জরিমানায় আয় করছেন। কিন্তু ন্যায় বিচার কোথায়? আমরা ভোক্তা অধিকার পরিপন্থী এমন অনৈতিক ব্যবস্থার অবসান চাই। দেশে হাজার হাজার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কাজ করলেও ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন সমূহকে প্রশাসনের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তা নানাবিধ প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। যাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি না হয়। তার প্রধান কারণ স্থানীয় পর্যায়ে ভেজাল পণ্য উৎপাদনের মাসোহারা যাতে নষ্ট না হয়ে যায়। এমন  শোষণে জর্জরিত ভোক্তা অধিকার। তাই ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এখন সময়ের দাবী। এই দাবীতে করোনা কালীন পরিস্থিতিতে এ বছর সীমিত পরিসরে পালন করছি বিশ্ব-ভোক্তা অধিকার দিবস-২০২১।

শুভেচ্ছা সহ

ডিজাইনার কে জি এস সবুজ

মহাসচিব, সিআরবি

প্রতিষ্ঠাতা, প্রধান নির্বাহী-সেলফ এইড